অনলাইন ডেস্ক : নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের অবসরজনিত কারণে তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বিচারপতি হাসান ফয়েজকে নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. গোলাম সারওয়ারের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এই অনুচ্ছেদের অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোনো বিচারক ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত নিজ পদে বহাল থাকবেন। বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আগামী ৩১ ডিসেম্বর ৬৮ বছরে পা দেবেন। সে হিসাবে সংবিধানের ওই ধারা মেনে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসরে যাচ্ছেন।

এর আগে, ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের পর প্রায় ৩ মাস প্রধান বিচারপতির পদটি শূন্য ছিল। ওই সময় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে রুটিন দায়িত্ব পালন করছিলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। পরে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর জন্ম ১৯৫৬ সালে, কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুরে। ১৯৭২ সালে খোকসা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার আচার্য্য প্রফুল্ল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন করেন তিনি। ওই কলেজ থেকেই ১৯৭৬ সালে স্নাতক পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৭৮ সালে।

ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে আইন বিষয়ক এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এরপরই তিনি পেশাদার আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস শুরু করেন। ১৯৮১ সালে যোগ দেন ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে, ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান আইন উপদেষ্টা পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হন ২০০৯ সালে। ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি তাকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএস) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন। পরে গত বছরের ৪ মে একই পদে পুনঃনিয়োগ পান তিনি।

-সারাবাংলা